মেয়েটির নাম নায়লা নাঈম

By | 4:23 AM Leave a Comment
২০০৯ সালের 'ইউ গট দ্য লুক'-এ ঢুকে পড়লেন সেরা দশে। তারপর পাঁচ বছর কাজ করছেন, কিন্তু নায়লাকে নিয়ে হৈচৈটা হঠাৎ করেই যেন বেড়ে গেল ইদানীং। কারণটা জানালেন নায়লা নিজেই, 'এত দিন শুধু প্রিন্ট মিডিয়ায় ছবি ছাপা হতো। তাই লোকে দেখেছে কম। এখন ভিজুয়াল মিডিয়াতেও কাজ করছি। অনেক মানুষের কাছে একই সময়ে পৌঁছে যাচ্ছি। তাই হয়তো এমন মনে হচ্ছে।' বড় রাস্তার অনেক বিলবোর্ডের জমিন এখন নায়লার দখলে। জানালেন, কেবল মডেলিংটাই মন দিয়ে করেছেন।
কোনো পিছুটান, কোনো প্রলোভনই মডেলিংয়ের পথ থেকে তাঁকে সরিয়ে রাখতে পারেনি। দন্ত চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনাটাও মন দিয়েই করেছেন। তাই সহজেই স্নাতকের ধাপ পেরিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেছেন পাবলিক হেলথের ওপর স্নাতকোত্তরও।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দন্ত চিকিৎসার ছয় মাসের একটি কোর্সও করেছেন সফলতার সঙ্গে। এত একাডেমিক একজন নারী মিডিয়ার রঙিন আলোয় কেন- সেই প্রশ্নেরও জবাব মিলল, 'আমি ছোট থেকেই চেয়েছি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে। সে জন্য আমার প্ল্যাটফর্ম দরকার ছিল, দরকার ছিল গ্রুমিংয়েরও। মডেলিং আমার জন্য সেই কাজটাই করে দিয়েছে। আর অর্থের দিকটাও একটা কারণ ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিং করেছি বলে হাতখরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি কখনো।' এখন কি তাহলে নায়লার পেশাও পাল্টে যাবে? একদম না। জানিয়ে দিলেন, ঢাকায় তাঁর নিজের চেম্বার আছে। সেখানে তিনি অন্য সবার সঙ্গে আর্তদের চিকিৎসা দেন বিনা মূল্যে। নায়লার এদিকের সঙ্গে যাঁদের পরিচয় নেই, তাঁদের এই বেলা তাঁর আরো একটি গুণের কথা বলা যেতে পারে। পোষা প্রাণীর প্রতি ভীষণ মমতাবোধ তাঁর। নিয়ম করে রাস্তার কুকুরদের খাওয়ান। বাড়িতে প্রায় ৬০টি বিড়াল আছে। এদের দেখভালের দায়িত্বও কারো হাতে ছেড়ে দেননি। এমনকি বাড়িতে জায়গা নেই বলে অনেক পশু মানুষকে পালতে দিয়েছেন, যেগুলোর খাওয়া ও থাকার খরচ যায় নায়লার আয় থেকেই।চলচ্চিত্রই স্বপ্ন তাঁর। আর তাই সেদিকে যাত্রাও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তন্ময় তানসেনের 'রান-আউট'-এ আইটেম সং আর তার পরই তানিম রহমান অংশুর 'আদি' চলচ্চিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র- একপা-দুইপা করেই এগিয়ে চলেছেন নায়লা। বিশ্বাস করেন, সবুরে মেওয়া ফলে। আর তাই যখন তাঁর পরিচ্ছদ নিয়ে বাক্যবাণে জর্জরিত ফেসবুক দুনিয়া, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ধৈর্য ধরে করে গেছেন শুধু কাজটাই। বললেন, 'দেখুন, এমন নয় যে এই একই পোশাকে অন্য কারো ফটোশুট হয়নি। হয়েছে। আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি বলে আমাকে নিয়ে এত কথা। অন্যদের নিয়ে কথা নেই কেন? তাহলে তো বলতে হয়, মানুষ আমাকে পছন্দ করে। আমার কাজ গ্রহণ করেছে বলেই তাঁদের আমাকে নিয়ে এত আগ্রহ।' আইনজীবী মা আর চাকুরে বাবা ছাড়াও পরিবারে আছেন নায়লার ছোট এক ভাই। আর প্রেম-বিয়ে? 'নেই। সত্যি বলতে, সময় হয়নি। আমি যা করি, মন দিয়ে করি। সবটুকু দিয়ে করি। কাজের প্রতি তাই যতটা সময় দিচ্ছি, তার সিকিভাগও প্রেমিককে দেওয়া হবে না এখন। তাই ভাবছি না ওসব নিয়ে। তবে এ কথা বলতে পারি, দেখতে যেমনই হোক, ভালো একজন মানুষ সত্যি যখন আমার জীবনে আসবে, তাকে সবটা দিয়েই ভালোবাসব।'









Showbiz

0 comments:

Post a Comment