আদিত্য চোপড়ার
সঙ্গে আপনার প্রেমের বিষয়টি বারবার এড়িয়ে যাওয়ার কারণ কী?
আমি আর দশজন
সাধারণ মেয়ের মতোই নিজের জীবনের একান্ত বিষয়গুলোকে জনসমক্ষে আনতে চাইনি। তার মানে
এই নয় যে, আমি ব্যক্তিগত
জীবনের ঘটনাপ্রবাহকে লুকানোর চেষ্টা করেছি। কারণ আমি চাইনি, আমার বাবা-মা তাদের মেয়ের জীবনের গল্প
গণমাধ্যমে পড়ে উদ্বিগ্ন হন।
আদিত্য চোপড়ার
সঙ্গে আপনার পরিচয় কিভাবে?
১৯৯৮ সালে মুক্তি
পাওয়া 'কুচ কুচ হোতা
হ্যায়' ছবিতে অভিনয়ের
সময় নির্মতা করণ জোহরের মাধ্যমে আদি'র সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়। পরে জানতে পারি যে, এ ছবিতে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য করণকে
আদিই পরামর্শ দিয়েছিল। তাই আমি মনে করি, আমার ক্যারিয়ারে সাফল্যের পেছনে তার বিশাল অবদান রয়েছে। এমনকি আমার
ক্যারিয়ারের মন্দা সময়েও সে বন্ধুর মতো আমার পাশে ছিল।
বিয়ে আগে কতদিন
প্রেম করেছেন?
বিয়ের আগে আমরা
তিন বছর প্রেম করেছি। যদিও তার আগে থেকেই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে
ওঠে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আদিত্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। নতুন
কোনো সঙ্গীর কথা সে ভাবতেই পারছিল না। এদিকে আমার ক্যারিয়ারেও মন্দা চলছিল। ঠিক
তখনই কীভাবে যেন আমরা একে অন্যের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। আমার মনে হয়, দুজনের জীবনেই দুঃসময় চলছিল বলে আমাদের
সম্পর্কের ভিত্তিটা মজবুত হয়েছে।
আদিত্যের
বিচ্ছেদের আগে তার প্রতি কখনো আপনার দুর্বলতা কাজ করেনি?
আদিত্যের
বিচ্ছেদের পরই কেবল আমাদের মধ্যে সখ্য গড়ে উঠেছে, তার আগে নয়। কারণ আদিত্য প্রচন্ড কাজপাগল। তাই
কাজের বাইরে তার সঙ্গে অন্য কোনো প্রসঙ্গে আমার কথাই হতো না।
আদিত্যের ঘর
ভাঙার জন্য আপনি দায়ী- এমন খবর চাউর হওয়ার পরও চুপ ছিলেন কেন?
আদিত্য, পায়েল ও আমাকে ঘিরে আজেবাজে অনেক খবরই রটানো
হয়েছে। কিন্তু কখনই সেগুলোর ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করিনি। কারণ আমি-আদিত্য
দুজনই জানতাম, সেগুলো মিথ্যা।
আমি কখনই কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। আমার ভেতরের এ গুণটি
সম্পর্কে আদি খুব ভালো করেই জানে। এ জন্যই সে আমাকে অনেক ভালোবাসে ও পছন্দ করে।
আদিত্যের প্রেমে
পড়লেন কেন?
প্রতিটি মেয়ের
মতো আমিও নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড ভিত্তিতে জীবনসঙ্গী খুঁজেছি। আমি সব সময় এমন
একজনকে চেয়েছি, যে মানুষ হিসেবে
অনেক বেশি ভালো হবে। আমি আদির ভেতর সেই গুণগুলো খুঁজে পেয়েছি।
আপনাদের মধ্যে কে
প্রথম প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল?
আদিত্যই প্রথম
আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। শুধু তাই নয়, আমার বাবা-মায়ের সামনে আমাকে আজীবনের সঙ্গী করার প্রস্তাবটাও ওই দিয়েছিল।
0 comments:
Post a Comment